১৯৭৩ সালে বিলি জিন কিং শুধু ববি রিগসকে হারাননি, তিনি এক প্রতীক ভেঙেছিলেন। পাঁচ দশক পর আরাইনা সাবালেংকা ও নিক কিরিওসের মধ্যে « ব্যাটল অব দ্য সেক্সেস » ফিরছে ঠিকই, কিন্তু এবার এই লড়াই যেন হারিয়েছে নিজের আত্মা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেনিসের জন্য এক নতুন যুগের সূচনা করেছে: যেখানে পরিচিতি গড়ে ওঠে কোর্টে যেমন, তেমনি ইনস্টাগ্রামেও। কিন্তু এই দৃশ্যমানতার সন্ধান কত দূর পর্যন্ত যেতে পারে, খেলোয়াড়দের ভারসাম্য নড়বড়ে না করে?
টেনিস প্রায় থেমেই থাকে না। টুর্নামেন্টের এই অন্তহীন স্রোতের আড়ালে, টেকে থাকতে হলে চ্যাম্পিয়নদের শিখতে হয় থামতে। ফেদেরার থেকে আলকারাস—এই কয়েকটা নির্ণায়ক সপ্তাহের তদন্ত যেখানে সবকিছু ঠিকঠাক হয়: বিশ্রাম, ছাড়, পুনর্জন্ম।
উইলিয়ামস বোন থেকে আলিজে কর্নে, স্পনসর থেকে এটিপি ও ডব্লিউটিএ সার্কিট—টেনিসে বেতন–সমতা নিয়ে বিতর্ক কখনো এত তীব্র ছিল না। অনস্বীকার্য অগ্রগতি ও স্থায়ী বৈষম্যের ভেতর দাঁড়িয়ে র্যাকেটের এই রাজা-খেলাটি এখন নিজেরই বিরোধিতার মুখোমুখি।
অশ্রু, করতালি এবং বিদায়: ২০২৫ সালের মৌসুমটি বড় প্রস্থান হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। সিমোনা হালেপ থেকে রিচার্ড গ্যাসকেট, পেট্রা কেভিটোভা পর্যন্ত, অনেক চ্যাম্পিয়ন তাদের ক্যারিয়ারের অধ্যায় বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।